September 21, 2024, 5:57 pm

সংবাদ শিরোনাম
দুর্নীতি বিরোধী জাতীয় সমন্বয় কমিটির উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুজাফর রহমান মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত জীবাশ্ম জ্বালানীর ব্যবহার বন্ধে কুড়িগ্রামে জলবায়ু ধর্মঘট খুলনা দৌলতপুর রেলস্টেশন ও মহসিন মোড় কাঁচাবাজারে এলাকাবাসীর উদ্যোগে পরিচ্ছন্নতা অভিযান সংসার রেখে ডলিতে আসক্ত কয়েছ৷ বিয়ে ছাড়াই এক সাথে বসবাস ঢাকার কেরানীগঞ্জ এলাকা থেকে তিন লাখ জাল টাকা এবং জাল টাকা তৈরির বিপুল পরিমাণ সরঞ্জামাদিসহ দুই জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০ যশোরের সাবেক এসপি আশরাফুল সহ ১০ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা কুড়িগ্রামে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গায় প্রভাবশালীদের মৎস্য চাষ প্রতিষ্ঠার পর থেকে নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত ক্ষেতলাল পৌরসভার বাসিন্দা উখিয়ায় রোহিঙ্গা শিবিরে বিদেশি পিস্তল ও গুলিসহ সন্ত্রাসী আটক কুড়িগ্রামের চিলমারীতে আশ্রয়নের ঘর বানিজ্য

সিপিডির রিপোর্ট ও বিএনপির বক্তব্য এক : বাণিজ্যমন্ত্রী

সিপিডির রিপোর্ট ও বিএনপির বক্তব্য এক : বাণিজ্যমন্ত্রী

ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক

বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা রিপোর্ট এবং বিএনপির বক্তব্য একই বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ১২ জানুয়ারি জাতির উদ্দেশে বক্তব্য দিয়েছেন। তার পরদিন সিপিডি এই কন্ট্রাডিকটরি গবেষণা রিপোর্ট প্রকাশ করলো।এতেই বোঝা যায়,তাদের উদ্দেশ্য কী? আসলে বিএনপির বক্তব্য ও সিপিডির গবেষণা রিপোর্ট এক।’ গতকাল রোববার সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত। পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘পত্রিকায় আমি সিপিডির রিপোর্ট দেখে বিস্মিত ও হতবাক হয়েছি। এটি যদি তাদের গবেষণা হয়, তাহলে আমি দুঃখিত। এই রিপোর্ট, এই গবেষণা আমি মানতে পারছি না।’

তিনি আরও বলেন, ‘পত্রিকাগুলো সিপিডির সংবাদ বড় করে ছাপে। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় আসে তখন বাংলাদেশের রফতানি আয় ছিল ৩৮০ কোটি ডলার। বিএনপির সময় তা ১০ বিলিয়ন ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ১৪ বিলিয়ন ডলার হয়। আমরা সেখান থেকে ২০০৯ সালে যাত্রা শুরু করেছিলাম।গত ৯ বছরে বাংলাদেশ ৩৫ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রফতানি করার সক্ষমতা অর্জন করেছে। ২০০৯ সালের আগে দেশে দারিদ্র্যের সীমা ছিল ৪২ শতাংশ। এখন সেটা ২৩ দশমিক ৫ শতাংশে নেমে এসেছে। অতিদারিদ্র্যের সীমা ছিল ১৭ দশমিক ৬ শতাংশ, যা এখন কমে দাঁড়িয়েছে ১২ দশমিক ৮ শতাংশে। সব ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উন্নতি হয়েছে। সিপিডি এগুলো চোখে দেখে না। সিপিডির বক্তব্যের সঙ্গে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাব মেলে না।’

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচনের বছরে সিপিডির এই ধরনের গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে বাংলাদেশ বিরোধিতাকারীদের হাতে একটি অস্ত্র তুলে দিলো।’

তিনি বলেন,‘নোবেল বিজয়ী অমর্ত্য সেন, বিশ্ব ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট কৌশিক বসুসহ বিশ্বের বড় বড় অর্থনীতিবিদরা যখন বাংলাদেশের অর্থনীতিকে বিস্ময়কর উত্থান বলছেন সেখানে সিপিডি বলছে বাংলাদেশে কিছুই হয়নি। আমি দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যকে বলতে চাই, উন্নয়ন যদি না হয় তাহলে বাংলাদেশে এত বিনিয়োগ হয় কী করে? উনি কি কৌশিক বসু ও অমর্ত্য সেনের চেয়েও বেশি বোঝেন,বেশি জানেন? বাংলাদেশ যেখানে এলডিসিভুক্ত থেকে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তরিত হতে যাচ্ছে সেই মুহূর্তে সিপিডির এই গবেষণা যথার্থ নয়।’

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ইউএস ইকোনোমিক সোশ্যাল কাউন্সিল ২০১৭ সালে বাংলাদেশকে মূল্যায়ন করেছে। যে মূল্যায়নে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হচ্ছে। উন্নয়নশীল দেশ হতে তিনটি শর্তও বাংলাদেশ পূরণ করেছে। শর্তগুলোর মধ্যে মাথাপিছু আয় এক হাজার ২৪২ ডলারের বিপরীতে এক হাজার ৬১০ ডলার হয়েছে, মানবসম্পদ উন্নয়ন ৬৬ শতাংশের বিপরীতে বাংলাদেশের উন্নয়ন হয়েছে ৭০ শতাংশ এবং অর্থনীতির ভঙ্গুরতার হার ৩২ শতাংশের বিপরীতে বাংলাদেশে ২৬ শতাংশে নেমে এসেছে। কাজেই ২০১৮ সালে আবার মূল্যায়ন হবে। ২০২১ সালে আবার উন্নয়নশীল দেশ হবো। যা ২০২৪ সালে কার্যকর হবে। বাংলাদেশের জিডিপি গ্রোথ বেড়েছে।’

তিনি আরও বলেন,‘দেশের ৮৩ শতাংশ মানুষ এখন বিদ্যুৎ পায়।এটা কি প্রশংসিত নয়? সাড়ে তিন হাজার মেগাওয়াট থেকে ১৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছি। এগুলো কি সিপিডির চোখে পড়ে না? উন্নয়ন না হলে, দেশে বিনিয়োগ না হলে রফতানি বাড়ে কী করে?’

তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বিশ্বে প্রশংসিত ব্যক্তি। সিপিডির প্রতিটি বক্তব্যই নেগেটিভ। তারপরও সিপিডি প্রচার পায়।’

নির্বাচনকালীন সরকার বলে সংবিধানে কিছু নেই বলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচনের সময় যে সরকার থাকে এবং যে সরকারের অধীনে নির্বাচন পরিচালিত হয় সেটিই নির্বাচনকালীন সরকার। প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে সেটিই বুঝিয়েছেন। উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, গত নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী বিরোধী দলের নেতাদের আহ্বান জানিয়েছিলেন। কিন্তু তারা আসেননি। আমাদের প্রস্তাব তারা প্রত্যাখান করেন। তখন যারা দায়িত্বে ছিলেন তারাই নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এখন আর সংলাপের সম্ভাবনাও নেই, প্রয়োজনও নেই। নির্বাচনকালীন সরকার বড় হবে নাকি ছোট হবে তা প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। জীবন থেকে যা হারিয়ে যায় তা কি পাওয়া যায়? নির্বাচনের সময় নির্বাচন পরিচালনা করবেন নির্বাচন কমিশন।’

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর